কক্সবাজারে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত সাত জন কারামুক্ত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. নেছার আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সোমবার আদালতের আদেশনামা পাওয়ার পরই তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।
এর আগে এ মামলায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বরখাস্ত পরিদর্শক লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এ মামলায় খালাসপ্রাপ্তরা হলেন
বরখাস্ত হওয়া সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, বরখাস্ত হওয়া কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এপিবিএনের বরখাস্ত হওয়া উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান, বরখাস্ত হওয়া কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ।
এ ছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন
প্রদীপের দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত ও বরখাস্ত কনস্টেবল সাগর দেব এবং টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
হত্যাকাণ্ডের ৪ দিন পর ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।