ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার ১০নং হবিরবাড়ী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড একটি আধুনিক মানসম্পন্ন ওয়ার্ড হিসেবে মানুষের কাছে ইতোমধ্যে বিশেষ পরিচিত লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। সেই ওয়ার্ডেরই কৃতি সন্তান, জনগণের একদম কাছে থেকে যে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি হলেন আলহাজ¦ মোঃ হাফিজ উদ্দিন মৃধা। একদম তৃণমূল থেকে উঠে আসা এক বর্ষীয়াণ নেতা। জনগণ বার বার যাকে বেছে নিতে ভুল করেন না। তিনিই তৃতীয়বারের মতো মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন। একজন সাদা মনের মানুষ। তাকে নিয়েই আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদন। প্রতিবেদন তৈরি করেছেন মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন খান।
ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার ১০নং হবিরবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ নির্বাচনে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী ন্যায় বিচারক, সমাজ সেবক, অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর গরীব দুঃখী মানুষের বন্ধু হিসেবে ইতোমধ্যে এলাকায় সবার নজর কেড়েছেন সেই আলহাজ¦ মোঃ হাফিজ উদ্দিন মৃধা বেসরকারী ভাবে মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন। ৭ নং ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ৩ শত ৪৭ জন। বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে হাফিজ উদ্দিন মৃধা ফুটবল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধীতা করে ভোট পেয়েছেন ৩৭৩২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী মোঃ আলমাস উদ্দীন তালা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৩০০৯ ভোট। এ নির্বাচনে ৭২৩ ভোট বেশী পেয়ে ৩য় বারের মতো মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন আলহাজ¦ মোঃ হাফিজ উদ্দিন মৃধা।
এখানে আরো উল্লেখ্য হাফিজ উদ্দিন বিগত ২বার নির্বাচিত মেম্বার এবং এবারও জনগণের স্বঃতস্ফুর্ত ভালোবাসায় আবারো সিক্ত হয়েছেন এবং মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন। এজন্য তিনি এলাকাবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
পুনরায় হাফিজ উদ্দিন মেম্বার নির্বাচিত হয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমার এই বিজয় শুধু এককভাবে আমার নয়, এই বিজয় ৭ নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরের মানুষের বিজয়। বিশেষ করে মা বোন মুরব্বী এবং তরুণরা আমাকে তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে তাদের সেবা করার সুযোগ করে দিয়েছেন, আমিও আমার সর্ব্বোচ্চ দিয়ে তাদের সেবা করে যাব এবং ভবিষ্যতেও তাদের পাশে থাকবো। তিনি আরো বলেন, পূর্বের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমি আমার ৭নং ওয়ার্ডকে একটি আধুনিক পরিচ্ছন্ন মডেল ওয়ার্ড হিসেবে পরিণত করবো।
তিনি আরো বলেন, তার ওয়ার্ডে কারো প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ না রেখে সবার সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এলাকার মানুষের,সমাজ ও দেশের জন্য উন্নয়ন করে যাবেন বলেও তার অঙ্গীকার পুর্নব্যক্ত করেন। তিনি এলাকাবাসীর কাছে সহযোগীতা ও পরামর্শ চেয়েছেন।
গত (সোমবার) ৩১ জানুয়ারী সকাল ৮টা হতে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে ভোট গ্রহণ। কোনপ্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয় ভোট গণনা। ভোট গণনা শেষে বেসরকারীভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।