রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৩ অপরাহ্ন

লতার শোকে ভারতে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় শোক

  • প্রকাশিত : রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ভারতের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর। রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে কিংবদন্তি এ শিল্পী শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রয়াত লতার শোকে ভারতে পালিত হবে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় শোক। এ সময় দেশটির জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।

ভারতরত্ন লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

করোনাভাইরাস ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় গত ৮ জানুয়ারি মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় লতা মঙ্গেশকরকে। শনিবার থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। এরপর ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয় তাকে। সেখান থেকে না ফেরার পথে পাড়ি দিলেন ভারতের প্রখ্যাত এই সংগীতশিল্পী।

এর আগে শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি বিবৃতি দিয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছে, ‘লতা মঙ্গেশকরের শারীরিক অবস্থার আবার অবনতি হয়েছে।’ গত ৯ জানুয়ারি তাকে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কয়েক দিন পর তার অবস্থার অবনতি হয়। এ কারণে তাকে ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয়েছিল। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় ভেন্টিলেশন থেকে তাকে বের করা হয়। কিন্তু সপ্তাহ না পেরুতেই ফের গুরুতর অবস্থায় সুরসম্রাজ্ঞী।

প্রসঙ্গত, লতা মঙ্গেশকর ভারতীয় সিনেমার কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী। দেশটির ইতিহাসে সর্বকালের সবচেয়ে সফল গায়িকা তিনি। তিনি ১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশের ইন্ডোরে শাস্ত্রীয় সংগীত ব্যক্তিত্ব ও থিয়েটার শিল্পী পণ্ডিত দীননাথ মঙ্গেশকর ও শেবান্তির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪২ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে একজন পেশাগত কণ্ঠশিল্পী হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি।

তিনি ৩৫টিরও বেশি ভারতীয় ভাষায় গান গেয়েছিলেন। এই কিংবদন্তির মাতৃভাষা মারাঠী হলেও তিনি ২০০’র বেশি বাংলা গান গেয়েছেন। ৭৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লতা মঙ্গেশকর তার জাদুকরি কণ্ঠ দিয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রেখেছিলেন।

১৯৭৪ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত বিশ্বে সর্বাধিক গান রেকর্ড করার জন্য গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম ওঠে তার। এই সময়ে তিনি ২০টি ভাষায় ২৫ হাজারের বেশি গানে কণ্ঠ দেন। কিন্তু ২০১১ সালে এ রেকর্ডটি ভেঙে দেন তারই ছোট বোন আশা ভোঁসলে।

লতা মঙ্গেশকর ভারতরত্ন, পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন। পেয়েছেন দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার, তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ফিল্মফেয়ার চারবার সেরা নারী প্লেব্যাক, ১৯৯৩ সালে আজীবন সম্মাননা এবং ১৯৯৪ ও ২০০৪ সালে দুইবার ফিল্মফেয়ার বিশেষ পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া ১২ বার বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্টস’ অ্যাসোসিয়েশন পুরস্কার।

এই বিভাগের আরও খবর