করোনা মহামারিতে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মানুষ। একইসময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে ১৫ লাখের নিচে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ভারত, তুরস্ক এবং ইতালি। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪১ কোটি ২০ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৮ লাখ ৩৩ হাজার।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫ হাজার ৪৪৯ জন। অর্থাৎ, আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে দুই হাজারের বেশি। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৮ লাখ ৩৩ হাজার ৯০৩ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ লাখ ৮২ হাজার ১৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে সাড়ে ৩ লাখের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ কোটি ২০ লাখ ৭৬ হাজার ৮৯৮ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭০৬ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১ লাখ ৯৭ হাজার ৯৪৯ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৪১ লাখ ৩৩ হাজার ৫০৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ২৪৮ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় নতুন সংক্রমণ ও প্রাণহানি অনেকটা কমে এসেছে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৬৫২ জন এবং মারা গেছেন ৪৬৭ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৭ কোটি ৯৩ লাখ ২৫ হাজার ৫৭৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৯ লাখ ৪৩ হাজার ৪১১ জন মারা গেছেন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩২৫ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৫৭ হাজার ২৮৮ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৭৪ লাখ ৮৩ হাজার ৩১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৩৮ হাজার ৪৪৯ জনের।
করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৭৮ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৩ হাজার ২৯১ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৪ কোটি ২৬ লাখ ৬৪ হাজার ৭১২ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ৯ হাজার ৪৩ জন।
গত একদিনে জার্মানিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ২১৬ জন এবং মারা গেছেন ৪৭ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ২৩ লাখ ৮৭ হাজার ৭৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ২০ হাজার ৫৮০ জন মারা গেছেন।
যুক্তরাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ২৭০ জন এবং মারা গেছেন ৫২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৮৩ লাখ ৬ হাজার ৮৫৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫৭০ জন মারা গেছেন। একই সময়ের মধ্যে ইউক্রেনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৫১৮ জন এবং মারা গেছেন ১৪০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় তুরস্কে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৩ হাজার ৭৮৭ জন এবং মারা গেছেন ২৭৬ জন। একই সময়ে ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫১ হাজার ৯৫৯ জন এবং মারা গেছেন ১৯১ জন।
এছাড়া গত একদিনে ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬ হাজার ৫৬২ জন এবং মারা গেছেন ১০৭ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ১৭ লাখ ৮ হাজার ৮২৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৩৪ হাজার ৮০৪ জন মারা গেছেন। গত একদিনে কলম্বিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৫৩২ জন এবং মারা গেছেন ১৬২ জন।
এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কানাডায় ৩৫ জন, আর্জেন্টিনায় ৯৪ জন, গ্রিসে ৭৫ জন, পোল্যান্ডে ৩১ জন, ইরানে ১৪৮ জন, জাপানে ১৪৩ জন, রোমানিয়ায় ৮০ জন, চিলিতে ৯৪ জন এবং ভিয়েতনামে ৮৪ জন মারা গেছেন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মেক্সিকোতে মারা গেছেন ৫৭৯ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ১২ হাজার ৬৯৭ জনের।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।