ইউক্রেনে টানা ১৭ দিন ধরে রাশিয়ার অভিযান চলছে। গতকাল যুদ্ধের ১৬তম দিনেও ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন চলেছে। এদিন ইউক্রেনের লুতস্ক ও দিনিপরো শহরে বিমান হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। একইসাথে দেশটির ভলনোভাখা শহর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে রুশ সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধারা।
এদিকে ইউক্রেনের মারিওপোল বন্দরে রুশ বাহিনীর গোলাবর্ষণ চালিয়ে যাওয়ার সময় অবরুদ্ধ দক্ষিণ ইউক্রেনীয় বন্দর মারিওপোলের একটি মসজিদে ৮৬ জন তুর্কি নাগরিক আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে লুকিয়ে থাকা তুর্কি নাগরিকদের মধ্যে ৩৪ জন শিশু রয়েছে।
খবর রয়টার্সের
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে শুক্রবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারাতে অবস্থিত ইউক্রেনীয় দূতাবাস বলেছে, রাশিয়ার বাহিনী সকাল থেকেই মসজিদসহ শহরটিতে গোলাবর্ষণ করছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, ইউক্রেনীয় দূতাবাস জানিয়েছে যে মারিওপোলে রাশিয়ান সেনাদের তীব্র গোলাবর্ষণের সময় তুর্কি নাগরিকরা মসজিদে আশ্রয় নেয়। ওই তুর্কি নাগরিকদের সঙ্গে শিশুও ছিল।
তবে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে তুরস্ক তার নাগরিকদের বাস ও ট্রেনের মাধ্যমে ইউক্রেন ছেড়ে যেতে সহায়তা করে আসছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বলেছেন, ১৩ হাজার ৭১৯ নাগরিককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
রাশিয়া এবং ইউক্রেন মারিউপোলে আটকে পড়াদের জন্য নিরাপদ পথের অনুমতি দেওয়ার জন্য একটি মানবিক করিডোর খোলার জন্য আলোচনা করছে কিন্তু এই সপ্তাহেও সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামরিক অভিযান ঘোষণার কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ অভিযানে ইউক্রেনে ৫৬৪ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪১ শিশু রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইউক্রেনে আনুমানিক ৫ থেকে ৬ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স