জীবাণু অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে রাশিয়া যে অভিযোগ তুলেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেন।
শুক্রবার (১১ মার্চ) আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া দাবি করেন, রুশ বাহিনী ইউক্রেনে কমপক্ষে ৩০টি গবেষণাগারের তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সমন্বয় করে অত্যন্ত বিপজ্জনক জীবাণু নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চলছিল। যদিও নেবেনজিয়া তার দাবির পক্ষে কোন প্রমাণ দেননি।
রুশ রাষ্ট্রদূতের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত বলেন, আমার অনুশোচনা হচ্ছে নিরাপত্তা পরিষদ এখন রাশিয়ার এইসব বক্তব্যের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে। নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের জন্য এটি চরম অবহেলার ব্যাপার।
এদিকে কয়েকদিন ধরেই ইউক্রেনে রাসায়নিক ও জীবাণু অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া বিষয়টি নিয়ে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার (১১ মার্চ) হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে তাহলে দেশটিকে ‘চড়া মূল্য’ দিতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামরিক অভিযান ঘোষণার কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়েছেন ২৫ লাখের বেশি মানুষ। এছাড়া যুদ্ধে ইউক্রেনের দুই হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং রাশিয়ার ১২ হাজার সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া বলছে, যুদ্ধে তাদের প্রায় ৫০০ সৈন্য নিহত এবং ইউক্রেনের আড়াই হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ অভিযানে ইউক্রেনে ৫৬৪ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪১ শিশু রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইউক্রেনে আনুমানিক ৫ থেকে ৬ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে। সূত্র : আলজাজিরা