বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে রোববার। গত সপ্তাহের দর পতনের এ ধারা এই সপ্তাহেও অব্যাহত রয়েছে।
ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় শুরু হলে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে থাকে।
গত ৭ মার্চ অপরিশোধিত তেলের ব্যারেল প্রতি দাম ১৩৯.১৩ ডলারে ওঠার পর গত সপ্তাহে তা কমতে শুরু করে। যা সপ্তাহ জুড়ে ব্যারেল প্রতি ১০৮-১২০ ডলারের মধ্যে রয়েছে।
সোমবার (১৪ মার্চ) ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট অপরিশোধিত তেলের দর কমে দাঁড়িয়েছে ১০২ ডলার ৫৫ সেন্টে। এ ছাড়া ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দর হয়েছে ১০৬ ডলার ১৯ সেন্ট।
রাশিয়ার অভিযান শুরুর পরে একটি অস্থির তেলের বাজার নিয়ে উদ্বিগ্ন বিনিয়োগকারীরা। গত সপ্তাহে দর পতনের জন্য সরবরাহের উন্নতির কারণে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
তাদের মতে, যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে নতুন করে বৈঠকের খবরে তেলের দাম কমেছে।
এদিকে, রাশিয়ান এবং ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের মধ্যে চতুর্থ দফার আলোচনায় মঙ্গলবার পর্যন্ত ‘কৌশলগত বিরতি’ নেওয়া হয়েছে।
এর অগে সংকট নিরসনে সীমান্তবর্তী বেলারুশে দু’দেশের মধ্যে ৩ দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া তুরস্কে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যেও একটি আলোচনা হয়। তবে বৈঠকগুলো থেকে কার্যত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামরিক অভিযান ঘোষণার কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়েছেন ২৭ লাখের বেশি মানুষ। এ ছাড়া যুদ্ধে ইউক্রেনের ১৩শ’ সেনা নিহত এবং রাশিয়ার ১২ হাজার সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া বলছে, যুদ্ধে তাদের প্রায় ৫০০ সৈন্য নিহত এবং ইউক্রেনের আড়াই হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ অভিযানে ইউক্রেনে ৬৩৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪৬ শিশু রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইউক্রেনে আনুমানিক ৫ থেকে ৬ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স