বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন

ন্যাটোর ‘বিশেষ’ সম্মেলনে যোগ দিতে ব্রাসেলস যাচ্ছেন বাইডেন

  • প্রকাশিত : বুধবার, ১৬ মার্চ, ২০২২

ন্যাটোর একটি “বিশেষ” শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে আগামী সপ্তাহে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ করার এক মাস পর, আগামী ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ন্যাটো’র এই “বিশেষ” শীর্ষ সম্মেলন।

বাইডেনের ব্রাসেলস সফরের পরিকল্পনার বিষয়টি এক বার্তায় নিশ্চিত করেন হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব জেন সাকি।

তার এই বার্তার কয়েক ঘণ্টা পরই ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ “বিশেষ” বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে এক টুইট বার্তায় বলেন, জোটের সদস্যরা “ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ, ইউক্রেনের প্রতি আমাদের দৃঢ় সমর্থন এবং ন্যাটোর প্রতিরোধ ও প্রতিরক্ষাকে আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনা করবেন।”

এদিকে, মঙ্গলবার ভোরে রাশিয়ার বোমা হামলায় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে আগুন লেগে চারজনের মৃত্যু হয়। আগুনের ভয়াবহতা এতোই বেশী ছিল যে, ক্ষিপ্র গতিতে উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয় বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এমনকি কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো মঙ্গলবার রাত থেকে পরবর্তী ৩৫ ঘণ্টার জন্য শহরে কারফিউ জারি করেন।

মঙ্গলবার জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা ৩০ লাখে পৌঁছেছে।

অন্যদিকে, প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে কিয়েভের উপর রুশ বাহিনীর একের পর এক আক্রমণ এবং অন্যান্য শহরগুলোতে বোমাবর্ষণের মধ্যে তিনজন ইউরোপীয় নেতা ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানাতে রাজধানী কিয়েভ সফর করেন।

সফরকারী নেতাদের মধ্যে চেক প্রধানমন্ত্রী পেত্র ফিয়ালা বলেছেন, তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহালের সঙ্গে বৈঠকে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রতিনিধিত্ব করতে, পোলিশ প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাউইকি এবং স্লোভেনীয় প্রধানমন্ত্রী জেনেজ জানসাকে সঙ্গী করে মঙ্গলবার কিয়েভ সফর করেন।

ফিয়ালা বলেন, “এই সফরের উদ্দেশ্য ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতার জন্য সমগ্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্ব্যর্থহীন সমর্থন নিশ্চিত করা। এছাড়া, ইউক্রেন এবং ইউক্রেনীয়দের সমর্থনে একটি বিস্তৃত প্যাকেজ উপস্থাপন করা”।

এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন দফায় আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যার মধ্যে, কিছু রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানির সঙ্গে লেনদেনের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং রাশিয়ার জ্বালানি খাতে নতুন বিনিয়োগের পাশাপাশি লোহা, ইস্পাত এবং বিলাসবহুল পণ্যের ওপর কঠোর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

অন্যদিকে, পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং আরও এক ডজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে তাদের দেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে রাশিয়া মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে।

এদিন ইউক্রেনের সংসদ আগামী ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশটির জরুরি অবস্থা আরও এক মাসের জন্য বাড়ানোর পক্ষে ভোট দিয়েছে। এছাড়া ১৮ থেকে ৬০ বছরের পুরুষদের দেশ ত্যাগ করতে বাধা দেয়া হয়েছে। যাতে তাদের সামরিক বাহিনীতে যোগদানের জন্য ডাকা যেতে পারে। সূত্র- ভয়েস অফ আমেরিকা।

এই বিভাগের আরও খবর