সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৯ পূর্বাহ্ন

ডনবাসে ব্যাপক হামলা শুরু করেছে রাশিয়া

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২২

রাশিয়া পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চল দখল করতে বড় পরিসরে আক্রমণ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যম বিবিসি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের লাইভ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

জেলেনস্কি বলেন, আমরা এখন নিশ্চিত করতে পারি যে রাশিয়ান সৈন্যরা ডনবাসের জন্য যুদ্ধ শুরু করেছে, যার জন্য তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। রাশিয়ান সেনাবাহিনীর একটি বড় অংশ এখন এই হামলায় নিয়োজিত রয়েছে।

তিনি বলেন, এখানে যতই রুশ সৈন্য আনা হোক না কেন, আমরা যুদ্ধ করব। আমরা নিজেদের রক্ষা করব।

এদিকে ডনবাসের লুহানস্ক অঞ্চলের গভর্নর সার্গেই গেইদাই বলেন, নরক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। কিছু শহরে বিরতিহীন লড়াই চলছে।

তিনি ফেসবুকে লেখেন, আক্রমণ শুরু হয়েছে। যে বিষয়ে আমরা কয়েক সপ্তাহ ধরে বলছি।

তিনি বলেন, রুবিঝনে এবং পোপাসনা শহরে নিরবচ্ছিন্ন লড়াই চলছে।

জেলেনস্কির চিফ অফ স্টাফ আন্দ্রি ইয়ারমাক বলেন, ডনবাসে হামলার মধ্যে দিয়ে যুদ্ধের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে।

ইউক্রেনীয়দের উদ্দেশে ইয়ারমাক টেলিগ্রামে লিখেন, আমাদের সেনাবাহিনীর ওপর বিশ্বাস রাখুন, আমরা খুবই শক্তিশালী।

উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ২০০৮ সাল থেকে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত, এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তবে সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে।

এই বিভাগের আরও খবর