জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মিয়ানমারের সাবেক নেতা অং সান সু চি। গত বছর সামরিক অভ্যুত্থানে সরকার ক্ষমতা থেকে উৎখাত হওয়ার পর এটি তার বিরল মন্তব্য।
সু চি’র আইনি প্রক্রিয়ার সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে সোমবার (১৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মিয়ানমারের স্বাধীনতার নায়ক প্রয়াত অং সানের কন্যা সু চির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনসহ দুর্নীতির একাধিক মামলা বিচারাধীন। এসব মামলায় তার সর্বোচ্চ ১৫০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানায়, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন অং সান সু চি। তিনি বলেন, প্রত্যেকের আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি আছে – আলোচনা করুন এবং ধৈর্য ধরে কথা বলুন।
তবে নোবেল বিজয়ী সু চি কেন ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন, সে বিষয়ে সূত্রটি বিস্তারিত কিছু জানায়নি। তবে তিনি বলেন, এটি জান্তার সঙ্গে সংলাপে বসার আহ্বান নয়।
সামরিক জান্তার মুখপাত্র রয়টার্সকে এ বিষয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য জানাতে রাজি হয়নি।
সূত্রটি বলছে, নগদ অর্থ ও স্বর্ণ ঘুষ হিসেবে গ্রহণের অভিযোগে সু চির বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির মামলায় আগামী সপ্তাহে রায় হওয়ার কথা রয়েছে। সু চি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
১৪ মাস আগে সেনা অভ্যুত্থানের ফলে এক দশকের গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ থেকে বিচ্যুত হওয়ার পর থেকে মিয়ানমার অস্থিরতা বিরাজ করছে।
সামরিক বাহিনীকে নৃশংসতার জন্য অভিযুক্ত করেছে জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার গোষ্ঠী। কিন্তু তারা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
গত বছরের শেষের দিকে রুদ্ধদ্বার আদালতে সু চিকে বেশ কয়েকটি অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। বর্তমানে তাকে অজ্ঞাতনামা স্থানে রাখা হয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স