দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ আজই নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। যদি এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় তাহলে এর নাম হবে ‘আসানি’। সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। সিংহলি ভাষার শব্দ ‘আসানি’। এর মানে হলো ‘ক্রোধ’।
শুক্রবার রাতে (৬ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে সরকার। এ জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে বৈঠক করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এরপর প্রয়োজনীয়সংখ্যক আশ্রয়কেন্দ্র, স্বেচ্ছাসেবক ও ত্রাণ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আবুল কালাম মল্লিক জানান, দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার আগ পর্যন্ত এর গতিপথ বোঝা যাবে না। তবে এখন পর্যন্ত এই লঘুচাপের গতিপথ ভারতের ওড়িশা অভিমুখে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে রবিবার নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এরপর এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড় যদি ভারতের ওড়িশায়ও আঘাত হানে তবুও বাংলাদেশের সাতক্ষীরাসহ উপকূলীয় এলাকাগুলোতে প্রভাব পড়তে পারে। আর যদি গতিপথ কিছুটা পরিবর্তন করে সরাসরি পশ্চিমবঙ্গ কিংবা বাংলাদেশের দিকে ঝোঁকে, তাহলে আরও বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে।
এদিকে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড় উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আগামী ১০ মে রাতে ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছতে পারে। এরপর ১১ মে গতিপথ কিছুটা পরিবর্তন করে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। বর্তমান অবস্থা অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে সর্বোচ্চ গতি উঠতে পারে ১০০ কিলোমিটার। যে গতিপথ ধরে লঘুচাপটি অগ্রসর হচ্ছে, এতে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম।