খেলল লিভারপুল কিন্তু শিরোপা ঘরে তুলল রিয়াল মাদ্রিদ। এর একমাত্র কারণ থিবো কর্তোয়ার অতিমানবীয় পারফরম্যান্স।
কর্তোয়ার কারণেই ২০১৮ সালের প্রতিশোধ নেওয়া হলো না লিভারপুলের। হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়ল অলরেডরা।
লিভারপুলের আক্রমণের সামনে রীতিমত কোণঠাসা ছিল রিয়াল। মোট ২৪টি শট নেয় লিভারপুল, যার ৯টি ছিল লক্ষ্যে। কিন্তু মোহামেদ সালাহ, সাদিও মানেদের সব জোরলো শট বারবার থামিয়ে দিয়েছেন বেলজিয়ান গোলরক্ষক কোর্তোয়া।
স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে কর্তোয়ার হাতে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে মাত্র তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ফাইনালে সেরার পুরস্কার হাতে নিলেন তিনি। এর আগে ২০০১ সালে অলিভার কান ও ২০০৮ সালে ফন ডার সারের ছিল এই কীর্তি।
তাই দাম্ভিক সব মন্তব্য দিতেই পারেন কর্তোয়া। ম্যাচ শেষে জানালেন, তারাই ইউরোপের রাজা।
কর্তোয়া বলেছেন, ‘অবিশ্বাস্য। এত বছর ধরে এত পরিশ্রম করেছি। সবচেয়ে পছন্দের ক্লাবে এসেছি। যেমনটা বলেছিলাম, রিয়াল ফাইনাল ম্যাচে খেলে জেতার জন্য। এই কথার জন্য অনেক টিপ্পনী শুনেছি। আজ আমরা দেখিয়ে দিয়েছি, ইউরোপের রাজা কারা!’
ফাইনাল জয়ের নায়ক বলেন, ‘ক্যারিয়ারে যত পরিশ্রম করেছি, অন্তত একটা (চ্যাম্পিয়নস লিগ) ফাইনাল জেতা দরকার ছিল আমার। সেটি আমার নামের ওপর মানুষের সম্মান ফিরিয়ে আনার জন্যও। অসাধারণ মৌসুম কাটানোর পরও অনেকবার শুনেছি যে আমি নাকি অত ভালো নই। বিশেষ করে ইংল্যান্ডে এমনটা হয়েছে।’
উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে কর্তোয়া আরো বলেন, ‘আমি সত্যিই খুব খুশি, গর্বিত। আমরা (সেমিফাইনাল ও ফাইনালে) বিশ্বের সেরা দুই ক্লাবকে হারিয়েছি। সিটি ও লিভারপুল এই মৌসুমে অবিশ্বাস্য খেলেছে। আজ লিভারপুল অসাধারণ ম্যাচ খেলেছে, কিন্তু আমরা একটা সুযোগ পেয়েছি, সেটিতেই গোল করেছি।’