চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোতে আগুনের ঘটনার মাঝে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। এতেই মূলত হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এই বিস্ফোরণের জন্য প্রাথমিক ভবে ধারণা করা হচ্ছে যে, কনটেইনারে থাকা দাহ্য পদার্থ থেকেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কনটেইনারে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ছিল যা আগুনের তাপে বিস্ফোরিত হয়।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান জানান, ডিপোটির কনটেইনারে থাকা রাসায়নিক পদার্থের কারণেই এমন ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। যার কারণে আগুনে বিকট বিস্ফোরণ হয়েছে তিন দফা।
আনিসুর রহমান জানান, বিদেশ থেকে আমদানি করা হাইড্রোজেন পার অক্সাইডই ছিল মূলত এসব কনটেইনারে। যা অ্যাভিয়েশন শিল্পখাতে ব্যবহৃত হয়। এসব রাসায়নিক উচ্চ চাপে বোতলজাত করা হয়ে থাকে।
ডিপোর কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, কনটেইনারগুলোতে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ছিল। তবে প্রথমে আগুন নেভাতে আসা ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের কেউ অবহিত করেনি। এমন রাসায়নিকের আগুন নেভাতে হয় ফগ সিস্টেমে। আমরা এখন এই পদ্ধতিতে এবং ফোমের মাধ্যমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছি। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে যাচ্ছে।’
গতকাল শনিবার (৪ জুন) রাত ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কন্টেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুন লাগে। রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কন্টেইনার থেকে অন্য কন্টেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কন্টেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আগুনের ভয়াবহতা বেড়ে যায়। হতাহতের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।