হাঙ্গেরির বিপক্ষে অঘটনের শিকার হয়ে আসর শুরুর পর আবারও হারের শঙ্কায় পড়েছিল ইংল্যান্ড। তবে শুরুর ছন্দহীনতা ঝেড়ে ফেলে দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝড় তুলল দলটি। তাতে শেষ দিকে একটা ভুল করে ফেলল জার্মানি। সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে নেশন্স লিগে দলকে মূল্যবান একটা পয়েন্ট এনে দিলে হ্যারি কেইন।
মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় মঙ্গলবার (৭ জুন) রাতে ‘এ’ লিগের ৩ নম্বর গ্রুপের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। ইয়োনাস হফমানের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর সমতা টানেন কেইন। এবারের নেশন্স লিগে শুরুটা প্রত্যাশামতো হয়নি দুই দলেরই। গত শনিবার ইতালির বিপক্ষে অনেকটা সময় ভালো খেলেও পিছিয়ে পড়েছিল জার্মানি। পরে সেটা শোধ করে ড্র করে তারা। আর ইংল্যান্ডের শুরুটা তো হয় আরও বাজে। হাঙ্গেরির বিপক্ষে হেরে বসে গ্যারেথ সাউথগেটের দল।
ইংল্যান্ডকে এদিনও শুরুতে বেশ ভুগতে দেখা যায়। প্রথমার্ধে তাদের পারফরম্যান্সে ছিল না ছন্দ। সেই সুযোগে শুরু থেকে চাপ বাড়ায় জার্মানি। প্রতিপক্ষের রক্ষণে বারবার ভীতি ছড়ালেও বিরতির আগে নিশ্চিত সুযোগ অবশ্য তারাও তেমন তৈরি করতে পারেনি। ২৩তম মিনিটে সতীর্থের উঁচু করে বাড়ানো থ্রু বল ধরে সবাইকে পেছনে ফেলে জালে বল পাঠান ইয়োনাস হফমান। তবে বাজে অফসাইডের বাঁশি, ভিএআরের তা বহাল থাকে। ৪৫তম মিনিটে ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েও গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে হতাশ করেন তরুণ বায়ার্ন মিউনিখ মিডফিল্ডার জামাল মুসিয়ালা। প্রথমার্ধের যোগ করা পাঁচ মিনিট দুটি ভালো সুযোগ পায় ইংল্যান্ড। প্রতিপক্ষের ভুলে বল পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে দুরূহ কোণ থেকে জোরাল শট নেন বুকায়ো সাকা। তবে সোজাসুজি থাকায় ঠেকাতে বেগ তেমন পেতে হয়নি গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ারের। তিন মিনিট পর সাকার আরেকটি জোরাল শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে এগিয়ে যায় জার্মানি। জসুয়া কিমিখের পাস ডি-বক্সে পেয়ে বুলেট গতির শটে গোলটি করেন বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখের মিডফিল্ডার হফমান। সোজাসুজি আসা বলে হাত ছোঁয়ালেও রুখতে পারেননি গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। শুরু থেকে নিজের ছায়া হয়ে থাকা ম্যাসন মাউন্ডের নৈপুণ্যে পিছিয়ে পড়ার তিন মিনিট পরই সমতায় ফিরতে পারতো ইংল্যান্ড। তবে তার শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন নয়ার। পাল্টা আক্রমণে ৭০তম মিনিটে টমাস মুলারের দূরহ কোণ থেকে নেওয়া শট রুখে দেন পিকফোর্ড।
৮৮তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় ইংলিশরা। ডি-বক্সে কেইনকে পেছন থেকে দুর্ঘটনাবশত ফাউল করে বসেন ডিফেন্ডার নিকো শ্লটারবেক। প্রথমে রেফারি পেনাল্টি যদিও দেননি, তবে ভিএআরে অনেক্ষণ ধরে দেখে সিদ্ধান্ত পাল্টান তিনি। নিখুঁত স্পট কিকে জাতীয় দলের হয়ে গোলের ফিফটি পূর্ণ করেন হ্যারি কেইন। ইংল্যান্ডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় এককভাবে দ্বিতীয় স্থানে উঠলেন কেইন, পেছনে পড়ে গেলেন স্যার ববি চার্লটন। ৫৩ গোল নিয়ে শীর্ষে ওয়েইন রুনি। আগামী শনিবার জার্মানি খেলবে হাঙ্গেরির মাঠে। আর ইংল্যান্ড ঘরের মাঠে মুখোমুখি হবে ইতালির।