গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় হাইসিকিউরিটি কারাগারে ফাঁস নিয়ে গোলাম মোস্তাফা (৩১) নামের এক ফাঁসির আসামি ‘আত্মহত্যা করেছেন’।
মঙ্গলবার (৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর ফাঁস নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে একই দিন সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ব্যক্তি হলেন, মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার উতরাইল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে গোলাম মোস্তফা (৩১)।
কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল বলেন, মঙ্গলবার (৭ জুন) বিকেলে বাথরুমের ভেতর গিয়ে ভেন্টিলেটরের রডের সঙ্গে গলায় ট্রাউজারের দড়ি পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে গোলাম মোস্তফা। এ সময় তার সঙ্গে থাকা আরও দুই বন্দি ও কয়েদি তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে দ্রুত গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে গোলাম মোস্তফাকে মৃত ঘোষণা করে।
তিনি আরও বলেন, তার রুমমেটদের কাছে জানতে পেরেছি, দুই সপ্তাহ আগে তার স্ত্রী ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস নিয়েছে। খবরটি শোনার পর মোস্তফা বেশ কিছু দিন ধরে সে হতাশায় ভুগছিল।
উল্লেখ্য, রাজধানীর ডেমরা থানায় সাড়ে ৪ বছরের ও ৫ বছরের শিশু ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় গ্রেপ্তারের পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। ওই মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তাকে ২০২০ সালের ১৯ মার্চ ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে ২০২১ সালের জুলাই মাসে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এখানে স্থানান্তর করা হয়।