নারী উত্ত্যক্তকরণ প্রতিরোধ বা ইভ টিজিং প্রতিরোধ দিবস আজ। ইভ টিজিং-এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিবছর ১৩ জুন এ দিবসটি পালন করা হয়। ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো ইভ টিজিং প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে ১৩ জুনকে ‘ইভ টিজিং প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই থেকে নিজস্ব কার্যক্রম নিয়ে জাতীয়ভাবে পালিত হয়ে আসছে দিনটি।
দেশে বিভিন্ন সময় নারী ও কিশোরীদের রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্রেও উত্ত্যক্তের শিকার হতে হচ্ছে। উত্ত্যক্তের শিকার হয়ে অনেক মেয়ের ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। অনেকে আত্মহত্যার পথ পর্যন্ত বেছে নেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত উত্ত্যক্তের শিকার হয়ে চারজন নারী আত্মহত্যা করেছেন। এ সময় উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় দুজনকে প্রাণ দিতে হয়েছে। ৫৪ জন নারী, তরুণী ও কিশোরী উত্ত্যক্তের শিকার হন। আর উত্ত্যক্তকারীর হাতে আহত হন ৫০ জন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে বখাটদের দমন করা যাবে না। ইভ টিজিং প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।