সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০১ পূর্বাহ্ন

কয়রায় ৬০০ বছরের পুরনো মসজিদকে ঘিরে অচিরেই পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে – কে এম খালেদ এমপি

শুভ মন্ডল, কয়রা উপজেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত : বুধবার, ৩ আগস্ট, ২০২২

আওয়ামী সরকারের মাননীয় সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রী জনাব কে এম খালেদ এমপি মঙ্গলবার (২ আগস্ট) খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনের কয়রা আমাদী ইউনিয়নের মসজিদ কুঁড় মসজিদ পরিদর্শন ও মতবিনিময় করেন। ২ আগস্ট ১২ টায় আমাদী ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে মসজিদকুড় মসজিদ প্রাঙ্গনে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল এর সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি মাননীয় সাংস্কৃতিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ধর্মান্ধতার গোঁড়ামি থেকে জাতিকে আলোর পথে ফিরিয়ে আনতে বঙ্গবন্ধু কণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ধর্মীয় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। বঙ্গবন্ধু জাতি-ধর্ম-গোত্র-নির্বিশেষে একজন অসাম্প্রদায়িক মানবিক গুণসম্পন্ন রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন। গনতন্ত্রের মানস কণ্যা শেখ হাসিনা টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, পূর্বাশা থেকে থানচি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের পাশাপাশি উপযুক্ত ধর্মীয় শিক্ষা এবং ধর্ম চর্চার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। সুন্দরবন সংলগ্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণ কয়রা নেত্রীর উপকূলবাসীর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার নিদর্শন। পরিচ্ছন্ন ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা কয়রা-পাইকগাছার উন্নয়নের কারিগর সাংসদ আখতারুজ্জামান বাবু মসজিদ কুঁড়ের মসজিদ সংলগ্ন পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের অনুরোধ করছেন। আমি এটা নেত্রী সহ ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে আগামী ২ মাসের মধ্যে পর্যটন নির্মাণের কাজ শুরু করারও আশ্বাস দেন।বিশেষ অতিথি এমপি আখতারুজ্জামান বাবু বলেন, আমাদের প্রাণপ্রিয় জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করতে তাহাজ্জুদের নামাজ শেষে ফরজের নামাজ আদায় করে মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের পরিশ্রম শুরু করেন। মানুষের মাঝে ধর্মীয় সুষ্ঠু শিক্ষা বাস্তবায়ন, প্রচার ও প্রসারের জন্য সারাদেশে মসজিদ, ইসলামি শিক্ষালয় নির্মাণ করে চলেছেন। খুলনা শহর থেকে দূরবর্তী কয়রা উপজেলায় নেত্রীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড মজবুত করতে কাজ করছি। মাননীয় সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রী কে এম খালিদ মহোদয়ের কাছে অনুরোধ মসজিদ কুঁড় মসজিদ সংলগ্ন কয়রায় ধর্মীয় শিক্ষা দীক্ষার এবং নেত্রীর ধর্মীয় মহত্ত্বকে মানুষের মধ্যে ফুটিয়ে তুলতে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ জরুরি। তিনি আরও বলেন, জামায়াত- বিএনপির ঘাটি হিসেবে পরিচিত ছিলো কয়রা-পাইকগাছা। এখন সেটি বঙ্গবন্ধুর মানসকণ্যা শেখ হাসিনার ঘাটি। আমরা নেত্রীর মানবিকতা, ধর্ম ভীরুতা এবং সুষ্ঠু ধর্মীয় শিক্ষা ছড়িয়ে দিয়ে নেত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করতে চাই।এসময় আমাদী ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েলের সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাসের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন কয়রা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জি.এম মোহসিন রেজা, পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এসএম শফিকুল ইসলাম, পাইকগাছা পৌরসভার মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম মুনিম লিংকন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস, কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ এবিএম.এস দোহা (বিপিএম), ইউপি চেয়ারম্যান এসএম বাহারুল ইসলাম, আঃ সামাদ গাজী, আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, প্রভাষক শাহনেওয়াজ শিকারী, আলহাজ্ব সরদার নুরুল ইসলাম, মোঃ আছের আলী মোড়ল, খান সাহেব কোমর উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ড. চয়ন কুমার রায়, কপোতাক্ষ কলেজের অধ্যক্ষ অদ্রিশ আদিত্য মন্ডল, কৃষকলীগের আহবায়ক প্রভাষক শাহাবাজ, খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ হাওলাদার, কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম টিংকু, পাইকগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পার্থ প্রতীম চক্রবর্তী, কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বাদল, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আব্দুর রকিব, আক্তারুল ইসলাম, জেড এম হুমায়ুন কবির নিউট প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কয়রা উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর