রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় দিন দিন বেড়েই চলেছে কিশোর অপরাধ। এদেরকে সমাজ কিশোর গ্যাং পরিচয়ে আখ্যা দিয়েছে। এদিকে ঢাকার কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়,এদের উৎপাত সীমাহীন।
রাজধানীর উত্তর সিটির কয়েকটি এলাকার মধ্যে দক্ষিণখান থানাধীন এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখাযায় বর্তমান সমাজে উঠতি বয়সের ছেলেরা যাদের বয়স আনুমানিক ১৬ থেকে ১৮/২০ বছরের কিশোররা সমাজে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িয়ে পড়ছে এবং সেই সাথে তাদের বেপরোয়া হয়েও উঠতে দেখা যায়। এ ধরনে উঠতি বয়সের ছেলেদের যেন শাষন করারও কেউ নাই। তথ্য নিয়ে জানতে পারা যায় তাদের এ বেপরোয়া হওয়ার কারন একটাই মরন নেশা ভয়াল মাদক। উঠতি বয়সের শুধু ছেলেরাই নয় এ ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে মেয়েরাও মরন নেশা গাজা,ইয়াবা সহ বিভিন্ন নেশার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে দিনের পর দিন।
গত ২৮ জুলাই এক তথ্যে জানা যায়,ঢাকার দক্ষিণখান প্রেমবাগান সংলগ্ন কেসি মডেল স্কুল এন্ড কলেজে ৪ জন কলেজ শিক্ষার্থী তাদের নাম জানা গেলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ঐ ছাত্রদের শিক্ষাজীবন নষ্ট হতে হতে পারে বলে প্রকাশ করা হলো না(তার কেসি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেনির ছাত্র) এরা তাদের নিচের ক্লাসের ছাত্রকে বেদম মারধর দিয়ে প্রেমবাগান সংলগ্ন আল-মদিনা হোটেলের রাস্তার অপরপাশে গড়ে ওঠা একটি চা দোকানে এসে কলেজের ড্রেস পরিধান অবস্থায় ধুমপান করতে থাকে এবং তাদের জুনিয়রকে মারধরে কাহিনি বলতে থাকে,তবে তাদের মুখ থেকেই জানা যায় তাদের জুনিয়র কেনো মেসেঞ্জারে গালি দিলো এবং জুনিয়র কেনো তাদেরকে কলেজের বাহিরে ডাক দিলো একারনেই তারা তাদের জুনিয়রকে মারধর করে।আরও শোনা যায় তাদের কলেজের প্রিন্সিপাল তাদের অভিভাবকদের ডাকালেও তারা কোন গুরুত্ব দেবে না। শুধু তাই নয় এরা চা দোকানের ভিতরে উৎপাতও করতে থাকে চা দোকানের অন্যান্য কাস্টমারের সামনে। এদিকে তাদের সম্পর্কে চা দোকানীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান এরা প্রায় প্রতিদিনই তার চা দোকনে এসে এমনই করে,এদের জন্য ব্যবসাও ঠিকমত করতে পারিনা।
এদিকে এমনও জানা যায় এরা নেশার টাকা যোগাড় করতে শুরু করেছে ছিনতাই,চুরি,চাঁদাবাজি সহ সমাজের বিভিন্ন ধরনের অপরাধ মুলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। এছাড়া এ নেশার টাকার জন্য বাবা-মা,ভাই-বোন এমনকি সমাজের মুরুব্বিদের অসন্মানও করতে দেখা যায়। এধরনের উঠতি বয়সের ছেলেরা আবার কোন কোন রাজনৈতিক নেতার ছত্র ছায়ায় থাকে বলে জানতে পারা যায়।ফলে সমাজে কোন মুরুব্বি ব্যক্তিরাও কিছু বলতে পারেন না। তারা শাসন করা চেষ্ঠা করলে তখন এই উঠতি বয়সের ছেলেরা বলে আমাদের বড় ভাই আছে কিছুই হবে না।
এ ধরনের উঠতি বয়সের ছেলেরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (দক্ষিণখান মহিলা কলেজ,গালর্স স্কুল,প্রেমবাগান সংলগ্ন কেসি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ,বঙ্গমাতা স্কুল এন্ড কলেজ,উদয়ন স্কুল,গাওয়াইর স্কুল রোড) ইত্যাদির সামনেও জটলা হতে দেখা যায়। যার কারনে অভিভাবকারা তাদের মেয়েকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েও নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন না।শুধু তাই নয় তাদেরকে বিভিন্ন মহল্লায় চা দোকান গুলোতে জটলা করে অড্ডা দিতে দেখা যায়। এ সমস্যা শুধু দক্ষিণখান নয় সমগ্রহ ঢাকা শহরে পাড়া মহল্লায় মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে এ ধরনের উঠতি বয়সের ছেলেদের উশৃঙ্খলতা দেখাযায়। এ বিষয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারা যায়, বর্তমান উঠতি বয়সের ছেলেরা যে কি হয়েছে আমাদের মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েও খুব দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। আর এ বিষয়ে পুলিশও বা কি করছেন যে মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে উতপাত।বখাটে ছেলেরা আড্ডাদেয় পিছন থেকে মেয়েদের নাম ধরে ডেকে বাজে আওয়াজ করে। এদের বিরুদ্ধে আবার প্রতিবাদ করতে গেলে তখন তারা আবার এলাকার বড় ভাই অর্থাৎ রাজনৈতিক পর্যায়ে টেনে নিয়ে যায়। শুধু এই নয়, তারা নেশা করে রাস্তা দিয়ে বেপরোয়া উচ্চ গতিতে মটরসাইকেল চালিয়েও নানান দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে। এদেরকে সমাজে কে শাসন করবে!কারাই বা এদের শেলটার দাতা ?
কাজেই কয়েকজন অভিভাবকের বক্তব্য প্রতিটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে সাদা পোষাকে প্রশাসনের কর্তব্যরত লোক থাকা উচিৎ এবং সেই সাথে প্রতিটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা রাখা একান্ত প্রয়োজন। এ উঠতি বয়সের উত্তাল যুব সমাজকে রুখতে হবে এবং মাদকের ভয়াল ছোবল থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে হবে এবং মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে হবে তা হলেই হবে সুষ্ঠু সমাজ। এ জন্য প্রশাসনের সঙ্গে সঙ্গে এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সমাজের মুরুব্বিদের এগিয়ে আসতে হবে।সে সাথে সমস্ত যুবকের সমাজের চোখে বেপরোয়া তাদেরকে আইনের আওতায় আনা এবং যারা মাদকাসক্ত তাদেরকে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে(রিহ্যাব সেন্টার) চিকিৎসা করার উদ্যোগ নিতে হবে। সেই সঙ্গে যুব সমাজকে সুন্দর ভাবে গড়ে ওঠার জন্য সমাজে বিনোদনের সু-ব্যবস্থা করতে সরকারের পাশাপাশি এলাকার জনপ্রতিনিধিদেরও এগিয়ে এসে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা আশা করে বর্তমান সুশীল সমাজ।