গাঁয়ের শান্ত ছেলে,বিশ্রী অবয়
দুরন্ত দূর্দম মন,
শান্ত বিকালে খেলার প্রান্তরে
দেখা মিলে সারাক্ষণ।
একটুখানি দৌড়ঝাঁপ শয়তানি
আর ভালথাকার ছন্দতা,
আড্ডার সরদার,মাস্তি, জিদ আর
ভাল সাজার,করার প্রবনতা।
সুর্যিমামা মররা আগে ঘরের ফিরার
শ্রীহীন ভয়ানক যন্ত্রণা,
কথা ঠেরের শাস্তি বিছিন্ন লাটিপিড়া
সাথে নিত্য মায়ের বকণা।
প্রত্যহ ঊষায় সাইকেল চড়ে ভ্রমরের
ন্যায় ছুটা বিদ্যাপ্রান্তে,
অসহ্য ক্ষুদা,তৃষ্ণা,গামেযসে ফড়িং
ন্যায় ফিরা মাতৃপ্রান্তে।
এতেই সন্তুষ্ট জিবন তার বুঝত
না জানত না অন্য কিছু,
বেড়ে উটার সাথে সঙ্গে যুক্ত হলো
নানাবিধ, নয়া কল্পণাগুচ্ছ।
এক শীতের মেঘাচ্ছন্ন ঊষা নিবু
হয়ে কিরণ দিচ্ছে সূর্য,
প্রাইভেটের যন্ত্রণা,কর দিচ্ছে
ঘন কুয়াশাকে ফলাফলা।
শান্ত কুয়াশাময় ঊষা জনশূন্য গাড়ি
ছিল না আমি সে ছাড়া অন্যজন
স্বপিল গতিতে ছুটিল পশ্চিমাপ্রান্তে
শীতের সমস্ত বাসনাকে রেখে
একপ্রান্তে।
চোখ তুলতে নয়ন পড়ে তারি চোখে
বয়ে গেল কি যেন অনুভতি,
পরে দেখি কল্পণা নয় সত্যি সে
অপরুপা পরীর সস্তি।
তার রুপময় নয়নগুলি ডাকছে
আমাকে অন্য শক্তিতে,
লাল ঠোটগুলি কি যেন বলছে
আমাকে আলতো তুলিতে।
এক শৈল্পিক শক্তি তারি দিকে
আলভোলে ডাকছিল আমারে,
ক্ষমতা,সাহস,ছন্দ ছিল না বলে কিছুই
পারিনি বলিতে তাহারে।
সেই দিন হইতে সকল ছন্দ রচিত
তাহারি অবয়কে গিরে,
আলগোছে লিখিতাম কবিতা
জানিতে দিতাম সহৃদয়ারে।
নিত্যদিবস দাড়িয়ে পথধারে তাহার লালিত শক্তিবলে,
স্পর্শীমুখ,সিগ্ধময় ঠোট,যাদুকরি
চোখগুলি দেখবো বলে।
তাহার ক্লান্তি হাসি,আটনি চাহন
কতখানি চেনা মনে হয়,
দিনশেষে বন্ধুদের মাঝে তুকে নিয়ে
বলা হয় কবিতা অনেক।
রিক্তাতায় ছিলো ব্যথানক রসশূন্যতা
দেখিলে মনে হবে নেমেছে
সুন্দর বনে কান্না,
মনে ধরিতো আমারি তেজে তারি চোখ দিয়ে বয়ে পড়িত
অভিশপ্ত আগুনের ঝরণা।
তাহার রুপের তুলিতে বিমুগ্ধ
হইলাম জ্ঞানহীন কাতর,
কল্পণাতে একেঁছিলাম শৈল্পিক ছবি
সাজাইলাম পাণবন্তর,ছালাতল নিবিড় শহর।
তাহারি রুপময় শান্ত চাহনি
ভাসমান চিরচেনা রুপ,
বলতে পারি না জনসক্ষুখে
হইল বহুত তাক এতটুক।
তোমারি মনের অস্থিরতা বুঝতে
চাইনি বাস্তবিক রঙ্গিতে,
যন্ত্রণা,নির্যাতন, রসতা করেছি
না জানা নানান ডঙ্গিতে।
তোমার বিমুগ্ধতা আমাকে ডেকেছিল
বার বারে রিক্তশূন্যপানে,
সময়ের সাথে করেছিলাম আলিঙ্গন
এতে ভুগেছি আমি ক্ষণে ক্ষণে।
রাবে বারে তোমার শূন্য তটে
বিড়িয়েছি আমার তরী
একটুখানি শৈল্পিক ছন্দতা নিব বলে,
করেছ আমাকে নির্জনতা,শূন্যতা, রিক্তশূন্যপানে
এলোকেশে বয়ে যাওয়া জলাঙ্গীর তলে।
হয়নি কোন আলিঙ্গন শিল্পীর ছন্দের
তোমারি জয়শ্রী মহিমায়,
অহংকার নামক ঘূর্ণিঝড় টর্পেডো
সুনামির ব্যথাদায়ক চালনাতায়।
বিছিয়ে ছিলাম তোমারি ছন্দে শানিত
শীতল পাঠি মায়াময় এই হৃদয়ে,
বারে বারে ডেকেছি কবিতা,শব্দ,ছন্দ ভালবাসা
আর রজনীগন্ধার সুবাস দিয়ে।
হৃদয়ে মণিকোঠায় থাকবে তুমি
মরণে হইবে শুধু বিতাড়িতা,
কাজে আসেনি পর্ববতীতে পাওয়া
ভালবাসা ছন্দ রুপ আর রসতা।
সহস্র তারা,জোসনা রাত,নিশিত মনে
হারিত দিনগুলি কল্পণাতে রুপদি আমার কলম তুলিতে
আমার এ রংতুলি গুলো উৎসর্গ করিলাম তোমার নামের নদীতে।
প্রিয় তুমি ভালো থেকো
শক্তিতে জর্জরিত হোক তোমার সকল স্বপ্ন,রুপতা,রসতা বাস্তবতা,
কেটে যাক আমার দেয়া সকল হীনতা, সংকৃর্ণতা আর অসাড়তা।
কবি : খোরশেদ আলম
শিক্ষার্থী, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, ঢাকা