বিভিন্ন ধরনের জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ৩৪, ৪৪ ও ৪৬ টাকা বাড়িয়ে এখন ৫ টাকা কমানো হাস্যকর ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে তামাশা বলে অভিমত পোষণ করেছেন সর্বস্তরের মানুষ। প্রসঙ্গত গত ৫ আগস্ট প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৮০ টাকা থেকে ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা, অকটেন ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা পেট্রোল ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা করা হয়। গত ২৯ আগস্ট রাতে প্রজ্ঞাপন দিয়ে সব ধরণের জ্বালানীর দাম প্রতি লিটারে ৫ টাকা কমানো হয়। যার ফলে তেমন কোন প্রভাব পড়েনি গণপরিবহন ও নিত্যপণ্যের বাজারে। ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে সাধারণ মানুষ। জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পরিবহন ভাড়া। দূরপাল্লার যানবাহনের ভাড়া বেড়েছে অনেক বেশি। গাবতলী বাস টার্মিনালে ঢাকা টু পাবনাগামী কয়েকজন যাত্রীর সাথে কথা হলে তারা জানায়, আগে ঢাকা থেকে পাবনা যেতে নন এসিতে ভাড়া লাগতো ৪৫০ টাকা এবং এসিতে লাগতো ৭৫০ টাকা কিন্তু জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির পরে সেই ভাড়া এখন গুনতে হচ্ছে নন এসি ৬৫০ টাকা এবং এসি ৯৫০টাকা। তারা আরো বলেন, আগে প্রতি মাসে ৩ থেকে ৪ বার বাড়িতে যাওয়া হতো কিন্তু গাড়ী ভাড়া বেড়ে যাওয়াতে এখন প্রতি মাসে ২ বারের বেশী বাড়ী যেতে পারছিনা। বাস কাউন্টারগুলোতে কথা বলতে গেলে তারা আমাদেরকে জানান, সরকার যে হারে তেলের মূল্য বৃদ্ধি করেছে তাতে ভাড়া বৃদ্ধি ছাড়া আমাদের কোন উপায় নেই।
অন্যদিকে জ্বালানী তেলের দাম প্রতি লিটারে ৫টাকা কমানোর ঘোষনা জনগনের সঙ্গে তামাশা বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ। পেট্রোল পাম্পগুলোতে জ্বালানী নিতে আসা কয়েকজন মোটরসাইকেল আরোহীর সাথে কথা বলতে গেলে তারা বলেন, এই ৫ টাকা কমানোর ফলে পরিবহনের ভাড়াও কমবেনা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে বর্ধিত মূল্যও কমবেনা। শুধু সরকারের রাজস্ব কমবে মাত্র।
অন্যদিকে এবার আরেক দফা দাম কমানোর কথা ভাবছে সরকার।আর এ মূল্য সমন্বয় শিগগিরই হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তবে এবারো বড় আকারে দাম কমবেনা বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে আগের অভিজ্ঞতা থেকে অনেকে মনে করেন নামে মাত্র দাম কমালে তেমন কোন প্রভাব পড়বেনা জনজীবনে।
জ্বালানী বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এমন ভাবে দাম সমন্বয় করা উচিত যাতে করে সর্বস্তরের মানুষের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। অপরদিকে সবাইকে আরো বেশী জ্বালানী ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।