মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, শেখ রাসেল নির্মলতা, বিশুদ্ধতা, মানবতা ও শিশুর অধিকারের প্রতীক। শেখ রাসেল বিশ্বের সব শিশুর প্রতিচ্ছবি।
তিনি বলেন, শেখ রাসেল আমাদের শিশু অধিকার নিয়ে কথা বলতে উদ্বুদ্ধ করে। বিশ্বের শিশুদের মধ্যে সে বেঁচে থাকবে হাজার বছর ধরে।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা আরও বলেন, সব জন্মদিনের অনুষ্ঠান আনন্দের হয়। কিন্তু শেখ রাসেলের জন্মদিনে আমাদের আনন্দ হয় না। অপরাধ বোধ আমাদের ঘিরে থাকে। আমরা কোমলমতি রাসেলকে বাঁচাতে পারিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জাতির পিতা ও শেখ রাসেলের খুনিদের বিচারের মাধ্যমে জাতির কলঙ্ক মোচন করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যেন আর কোনো খুনি-জল্লাদ চক্র ক্ষমতায় না আসতে পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি অডিটোরিয়ামে ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২২’ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল। স্বাগত বক্তব্য দেন শিশু একাডেমির মহাপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে দুজন শিশু শেখ রাসেলকে নিয়ে অনুভূতি ও শুভেছা জানিয়ে বক্তব্য তুলে ধরে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২২’ বর্ণাঢ্যভাবে উদযাপনের জন্য গ্রহণ করেছে বিভিন্ন কর্মসূচি। সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতি ও বনানীতে শেখ রাসেলের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে জাতির পিতার ম্যুরাল ও শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শেখ রাসেলের জন্মদিনে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
শিশু একাডেমির মৃত্যুঞ্জয়ী শেখ রাসেল গ্যালারিতে প্রদর্শিত হয় শেখ রাসেলের আলোকচিত্র। শিশু একাডেমি আর্ট গ্যালারিতে ছিল শিশুদের আঁকা ছবির প্রদর্শনী। শিশু একাডেমির অডিটোরিয়ামে প্রদর্শিত হয় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ও শিশুতোষ চলচ্চিত্র। এ দিবস উদযাপন উপলক্ষে শিশু একাডেমির আয়োজনে ছিল উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব, জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান, মহিলা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন ও অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামানসহ মন্ত্রণালয়, দপ্তর সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও অভিবাবকরা। আলোচনা পর্ব শেষে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা হয়। শিশুদের পরিবেশনায় ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।