বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপির গণসমাবেশ ঠেকাতে সরকার নিজেই ধর্মঘট ডেকেছে। কিন্তু জনস্রোত আটকানো যায়নি। আজকে ট্রলারে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিএনপির অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু মানুষকে ঠেকানো যায়নি। তারা নদী সাঁতরে, পায়ে হেঁটে এবং বাধা পেরিয়ে গণসমাবেশে যোগ দিয়ে সফল করেছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশ শিশুকল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে এসব কথা বলেন। এসময় রুহুল কবির রিজভী প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেন, আপনিতো অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছেন। সেজন্যই গণভবনে চিতল মাছ ধরে সেই মাছ বোনকে দেখাচ্ছেন। সেই ছবি আবার ফেসবুকেও দিচ্ছেন। আর বুঝাচ্ছেন যে দেশের মানুষ ভালো আছেন। অথচ দেশের মানুষ টিসিবির পণ্য কিনতে ট্রাকের পেছনে ছুটছে। তারা দিশেহারা। তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছে।
বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের তালিকা করা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, আজকে ১৯৯টি ওয়ার্ডের সহস্রাধিক নেতাকর্মীর তালিকা করছেন। এটা করছেন হুমকি দেয়ার জন্য। ভয় দেখানোর জন্য। কিন্তু শেষ রক্ষা হবে না। আপনার ক্ষমতার মসনদ হুড়মুড় করে ভেঙে পড়বে। আজকে সাধারণ মানুষ বিএনপির মিছিলে এসে বুক পেতে বুলেটকে বরণ করছে। সামগ্রিকভাবে জনগণ ফুসে উঠেছে। তারা রাজপথে আছে এবং থাকবে।
বাংলাদেশ লেবার পার্টির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়। লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা সহ লেবার পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতারা।
এসময় গণমাধ্যমের ঊদ্ধৃতি দিয়ে রিজভী আরও বলেন, আজকে সরকারের লোকেরা হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। কোনো রিকশাচালক বা কাঠমিস্ত্রী এসব টাকা পাচার করেনি করেনি। এসব টাকা পাচার করেছে সরকারের লোকেরা। যারা বিদেশে বেগম পাড়া বানিয়েছেন। আসলে এই সরকারের উন্নয়ন হচ্ছে জনগণকে ধাপ্পাবাজি। উন্নয়নে রড ছিলো না। যে কারণে সবকিছু এখন হুড়মুড় করে ভেংগে পড়ছে।