আরও দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। রোববার (১৮ ডিসেম্বর) কোরীয় উপদ্বীপের পূর্ব উপকূল থেকে সমুদ্রের দিকে ওই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দুটি নিক্ষেপ করা হয় বলে দাবি করে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী।
রোববার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায় ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
জানা যায়, উত্তর কোরিয়ার নিক্ষেপ করা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো জাপানের একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের (ইইজেড) বাইরে পড়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। জাপানের সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী তোশিরো ইনো এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ৫৫০ কিলোমিটার (৩৪২ মাইল) উচ্চতা দিয়ে উড়ে ২৫০ কিলোমিটার পরিসীমা অতিক্রম করে।
এর আগেও চলতি বছর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও বিধিনিষেধ না মেনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া। সেগুলোর মধ্যে একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও (আইসিবিএম) ছিল, যা যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম।
নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ বিমান মহড়া চলাকালে আইসিবিএমটি পরীক্ষা করে পিয়ংইয়ং। সেসময় জাপান বলেছিল, ক্ষেপণাস্ত্রটি যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে পৌঁছাতে সক্ষম ও এটি জাপান থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার (১৩০ মাইল) দূরে পড়েছিল।
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বারবার ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। যদিও একের পর এক পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার জন্য উত্তর কোরিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক দেশ।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সাত দফায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছিল পিয়ংইয়ং। উত্তর কোরিয়ার মতো অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত দেশ কীভাবে একের পর এক এমন পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে বহু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
অক্টোবরে দেশটির প্রেসিডেন্ট কিম জং উন বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হুমকির বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার জন্য আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে প্রতিবেশী কোনো দেশের কোনো ক্ষতি হয়নি।