ফিলিপাইনে সুপার টাইফুন ‘রাই’-র আঘাতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৭৫ জনে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার (১৯ ডিসেম্বর) দেশটির কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানায়। নিখোঁজদের সন্ধানে এখনো চলছে উদ্ধার কাজ।
গত বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) ফিলিপাইনের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানে সুপার টাইফুন রাই। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের পর অঞ্চলটিতে বহু গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে। প্লাবিত হয়েছে বহু গ্রাম। বাড়িঘর ও সৈকতের রিসোর্টগুলো থেকে তিন লাখের বেশি মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
জনপ্রিয় পর্যটন স্পট বোহোলের গভর্নর আর্থার ইয়াপ তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জানিয়েছেন, তার নিজের শহরেই ৪৯ জনের মৃত্যর খবর পাওয়া গেছে। এদিকে, দেশটির কর্মকর্তারা সর্বশেষ ৭৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
আর্থার ইয়াপ আরও জানান, এখনো ১০ জন নিখোঁজ রয়েছেন এবং টাইফুনের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আহত হয়েছেন আরও ১৩ জন। দুর্যোগকবলিত এলাকাগুলোর সঙ্গে এখনো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তিনি বলেন, ৪৮ জন মেয়রের মধ্যে মাত্র ২১ জনের কাছ থেকে এ পর্যন্ত খবর পেয়েছেন তারা। বন্যাকবলিত রাজ্যে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, সুপার টাইফুন রাই ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন দ্বীপ সিয়ারগাওয়ের স্থলভাগে আছড়ে পড়ে। এসময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার।
দুর্যোগকবলিত এলাকায় এখনো উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন দেশটির সামরিক বাহিনী, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। কয়েক হাজার সংশ্লিষ্ট সদস্য উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছেন।
ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব দ্য রেড ক্রসের স্থানীয় প্রধান আলবার্তো বোকানেগ্রা বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনে গত এক দশকে ডিসেম্বর মাসে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়গুলোর মধ্যে এটি একটি। এদিকে, জাতিসংঘ জানিয়েছে সুপার টাইফুনের প্রভাবে এক কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সূত্র: এএফপি, এনডিটিভি