তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৮ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডাব্লিউএইচও জানায়, তুরস্ক এবং সিরিয়ায় আড়াই কোটির বেশি মানুষ এই ভূমিকম্পের শিকার হয়েছেন।
দুটি দেশের কয়েক হাজার ভবন ধসে পড়েছে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষদের বাঁচাতে উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প, ধ্বংসস্তুপে আটকা ফুটবল ও ভলিবল খেলোয়াড়েরা
বিবিসি জানায়, উত্তর সিরিয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া লোকজন সাহায্যের জন্য ডাকাডাকি করছেন কিন্তু তাদের ডাকে সাড়া দেওয়ার মতো প্রায় কেউ নেই। ইস্তাম্বুলের একজন তুর্কি সাংবাদিক ইব্রাহিম হাসকোলোলু বিবিসিকে জানান, ‘এখনও অনেক মানুষ ভবনের নিচে আটকা আছেন।তাদের সাহায্যের প্রয়োজন।’
তিনি বিবিসি নিউজকে বলেছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে আটকে পড়া লোকজন তাকে এবং অন্যান্য সাংবাদিকদের ভিডিও, ভয়েস মেসেজ এবং তাদের লাইভ অবস্থান পাঠাচ্ছেন।
তারা আমাদের বলছে যে তারা কোথায় আছে এবং আমরা তাদের জন্য কিছুই করতে পারছি না। হাসকোলোলু বলেন, তুরস্কের জন্য এখন আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন।
সোমবার ভোরে মানুষ যখন ঘুমাচ্ছিল, তখন ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। প্রচণ্ড ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে জরুরি উদ্ধার অভিযান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: তুরস্কে ভূমিকম্পে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিখোঁজ
সিরিয়ার ন্যাশনাল আর্থকোয়েক সেন্টারের প্রধান রায়েদ আহমেদ এটিকে ‘ইতিহাসে তাদের রেকর্ড করা সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প’ বলে অভিহিত করেছেন।
এদিকে, ভূমিকম্পের ঘটনায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সাত দিনব্যাপী রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন। এরদোয়ান টুইটারে বলেন, আমাদের সরকারি ও বিদেশি সব দপ্তরে ১২ ফেব্রুয়ারি সূর্যাস্ত পর্যন্ত পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
সূত্র : বিবিসি, এএফপি, আল জাজিরা